Bus Accident: দেশের মধ্যে ঘটে গেল আবারো এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা । এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দেশের অন্যতম এক সুন্দর পাহাড় ঘেরা রাজ্য উত্তরাখন্ডে । সূত্র মারফত জানা গিয়েছে গত সোমবার অর্থাৎ 4ই নভেম্বর সকাল বেলা নাগাদ উত্তরাখণ্ডের আলমোরা জেলা রামনগর এলাকা সংলগ্ন একটি জায়গায় প্রায় 45 জন যাত্রী নিয়ে খাদে উল্টে গেল এক যাত্রীবাহী বাস। ওই 45 জন জাতির মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু ছিল। যেখানে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছে 20 জন ।
কিভাবে এই বাস দুর্ঘটনাটি ঘটলো
ঠিক কিভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটলো এই নিয়ে তদন্ত করলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, যে বাসটি উল্টে গেছে, ওর ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছিল বাসটি । আর অতিরিক্ত যাত্রীর ভার বহন করতে গিয়ে মূলত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহ ওই বাস। খাদের মধ্যে ওরকম ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার জন্য বাসটি অত্যন্ত দুমড়ে মুছে গিয়েছে এখন। ও তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর হল বাসে তো ইতিমধ্যেই কয়েকটি শিশুসহ 20 জন জাতির মৃত্যু হয়েছে এছাড়াও বাকি সমস্ত যাত্রী প্রায়ই এখনো বাসের ভেতরেই আটকে পড়ে রয়েছেন। যে কয়েকজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাদেরকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ট্রিটমেন্টের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা কবলে পড়া বাসটিতে যে সমস্ত যাত্রীরা ছিলেন তাদের উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই উত্তরাখন্ড রাজ্যের বাহিনী কাজ করছে। এই দুর্ঘটনার যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এক খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর উপরে বাসটি অত্যন্ত খারাপ ভাবে উল্টে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনার উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছে অনেকেই। এই ঘটনায় ওখানকার জেলাশাসক অলক কুমার পান্ডে জানিয়েছে “দুর্ঘটনায় কবলে পড়া ওই বাসটিতে 40 জনের বেশি যাত্রী ছিল। ও অতিরিক্ত ভারের কারণেই মূলত বাসটিতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এবং সেটি প্রায়ই 200 মিটার গভীর একটি খাদে পড়ে গিয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক বিনীত পাল কি জানালেন
এদিকে আবার বিনীত পাল, যিনি নাকি আবার আলমোরা জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক, তিনি জানিয়েছেন, “15 জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা কিন্তু ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। আমাদের দল যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি নিজেদের উদ্ধারকার্য সম্পূর্ণ করবে। বাকিটা সম্পূর্ণ হলেই মোট কতজন আহত হয়েছেন এবং কতজন নিহত হয়েছেন তার সঠিক খবর আমরা জানাতে পারব। এই এত বড় দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে আবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী, এই দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেন যে, “আমাদের এই রাজ্যে রামনগর জেলায় যে এই বাস দুর্ঘটনাটি ঘটে গেল, সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আমাদের ও ওই দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তিদের। আমরা আমাদের জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার উদ্ধার কার্যে কাজে লাগিয়ে দিয়েছি। ওখানকার স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীরা তাদের উদ্ধারকার্য ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে উদ্ধারে করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে এই ঘটনায়। আর যে সমস্ত ব্যক্তিরা আহত হয়েছে তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যে সমস্ত ব্যক্তিরা অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় রয়েছে, তাদেরকে প্রয়োজন পড়লে আমরা আকাশ পথেও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।