Politics: গতকাল অর্থাৎ 16ই সেপ্টেম্বর কলকাতার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে এক দীর্ঘ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ওই দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রেস কনফারেন্স করেন এবং সেই প্রেস কনফারেন্সে প্রায় রাত 12 টার সময় কালীঘাটে নিজের বাড়ির বাইরে তিনি সকলকে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কলকাতার বর্তমান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
যেটা মূলত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনেই মুখ্যমন্ত্রীকে করতে হচ্ছে। এরপরে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে দেখা গেছে যে বিনীত বয়েলের পর কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার কে হতে পারে ? এই নিয়েই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা রয়েছে।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল তো বটেই এর পাশাপাশি ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তব নায়েক এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশীষ হালদার কেউও বদলি করা হবে বলে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়ে দিয়েছেন যে 17ই সেপ্টেম্বর বিকেল 4টের সময় নতুন সিপি কে নিয়োগর করা হবে রাজ্য পুলিশ ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে।
কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার কাকে করা হতে পারে ?
নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আর জি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের নিজের ডিউটিতে ওরকম খারাপ প্রদর্শনের কারণে বিনীত গোয়েলকে তো পদত্যাগ করতে হবেই। তার পদত্যাগের পর মূলত কলকাতা নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে 2জনের নাম উঠে আসছে।
এর আরো একটি কারণ হলো যেহেতু এবছর 31শে ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশের বর্তমান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের 3 বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যেত। তার পরবর্তীকালে কে নতুন পুলিশ কমিশনার হবে সে প্রশ্ন আগে থেকেই উঠছিল আর কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজের ওই নৃশংস ঘটনায় পুলিশের ওরকম খারাপ কাজ দেখে দাবি আরো দৃঢ় হয়ে গেছে। এই দৃঢ়তার পেছনে সব থেকে বড় হাত হলো জুনিয়র ডাক্তারদের।
মূলত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে হার মেনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বিনীত গোয়েলকে তার পদ থেকে সরাতে হচ্ছে। বিনীত গোয়েলের পর মূলত যে দুজনের নাম এখানে উঠে এসেছে তার হলো – মুখ্যমন্ত্রীর Director Security পীযূষ পান্ডে এবং ADG CID আর রাজশেখরন।
নিউজ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে যে, এই পীযূষ পান্ডে এর আগে লাল বাজারে গোয়েন্দা প্রদান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি যখন মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন ডেপুটেশনে SPG তে ছিলেন তিনি। তবে শুধুমাত্র পীযুষ এবং এই রাজশেখরন ছাড়াও আর যেই পুলিশকর্তা নাম আলোচনায় এসেছে তারা হলো দক্ষিণবঙ্গ ADG সুপ্রতিম সরকার এবং IAS অফিসের জাভেদ শামীম।
এদিকে আবার গত 16ই সেপ্টেম্বর জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে এই জাবেদ শামীমকে দেখাও গিয়েছিল। কিন্তু কে শেষ পর্যন্ত গোয়েলের পর নতুন পুলিশ কমিশনার হবে সেটা নিয়ে কোন রকম অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি এখনো জানানো হয়নি নবান্নের তরফ থেকে।
এদিকে আবার বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্ম বিরতি তুলে নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের যে, তারা যেন নিজেদের আন্দোলন থামিয়ে কাজে ফেরে। কেননা আমরা আপনাদের তিনটি দাবি মেনে মেনে নিয়েছি। আপনারা যদি নিজেদের কাজে না ফেরেন তাহলে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন বিনা চিকিৎসায়। কারণ মানুষের কাছে ডাক্তার হলো দ্বিতীয় ভগবান।
এই বক্তব্যের উত্তর এই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আপনার সমস্ত কথা যতদিন বাস্তবায়িত না হচ্ছে ততদিন আমাদের আন্দোলন থামবে না।