নিউজ বার্তা ডেস্ক: কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজে জুনিয়ার মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে টানা প্রায় দেড় মাস ধরে বাংলা সহ গোটা দেশ জ্বলছে। চলছেন নানা জায়গায় প্রচুর প্রতিবাদ মিছিল ও আন্দোলন।
এই মিছিলে 8 থেকে 80 সমাজের প্রতিটি বয়সের মানুষেরা পা মিলিয়েছে। যেখানে অবশ্য সাধারণ মানুষের সাথে জুনিয়র চিকিৎসাকরাও প্রতিবাদে নেমেছে। প্রতিবাদে নেমেই তারা প্রায় 41 দিন ধরে তাদের সমস্ত সরকারি ডিউটি বন্ধ করে দিয়েছিল। এই এতগুলো দিন আন্দোলনের পর সমস্ত জরুরি সেবা পুনরায় চালু করতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।
অবশেষে কাজে ফিরছে জুনিয়র ডাক্তাররা
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা তারা আন্দোলন চলা এবং আন্দোলনে তাদের বিভিন্ন রকম দাবি ছিল, যেমন ধরুন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করানো ইত্যাদি। আন্দোলনের চাপে পড়ে মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ডাক্তারদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নিতে হয়েছিল।
এরপর জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে ডাক্তাররা শনিবার থেকে কাজে ফিরছেন, কিন্তু সব ধরনের চিকিৎসা তাও হবে না সেখানে। শুধুমাত্র জরুরী রোগীদের দেখা হবে। তবে আপাতত OPD এবং OT পরিষেবা স্থগিত থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে ওই বৈঠকে বেশ কিছু আরো গুরুত্বপূর্ণ দাবি মেনে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সব থেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে
পুলিশ কমিশনের পদত্যাগের পাশাপাশি এখানে ডাক্তারদের প্রধান দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছিল চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আন্দোলন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত সেটা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়াই। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বললে ডাক্তারের কিছুটা হলেও শান্তি পাই। এছাড়াও সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গে ঘটে যাওয়া বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ডাক্তারদের তরফ থেকে।
আন্দোলনরত এক ডাক্তার সাংবাদিক জানান আমরা আমাদের আন্দোলন থেকে অনেক কিছু অর্জন করেছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত অনেক কিছু বাকিও আছে অর্জন করার। আমরা এই তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করতে ও বাধ্য করেছি। তবে যতদিন না পর্যন্ত আমাদের ডাক্তার দিদি উপযুক্ত বিচার পাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবেই, জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।