আর জি কর: কিছুদিন আগেই কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে যে মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের ওপর যে হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, তার ফলে রাজ্য সহ গোটা দেশ এখনো পর্যন্ত বিচারের আশায় রয়েছে।
আর জি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে সমাজের মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করায় কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দারস্ত হয়েছেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের এক অস্থায়ী হোমগার্ড। এই মামলাটি হয়েছে বিচারপতি পার্থসারথি শ্রেণীর ডিভিশন বেঞ্চে।
এখন থেকে গত 5 বছর ধরে হাওড়ার ডোমজুড় এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ পান্ডা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ বেলঘড়িয়া থানায় অস্থায়ী হোম গার্ডের পদে চাকরি করছেন। কিন্তু গত 21 আগস্ট আর জি করের ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটা ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। ভিডিওটি পোস্ট করার পর থেকে তাকে নানা রকম হুমকি, নানাভাবে হেনস্থা করা, এমনকি মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কাশীনাথ। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরাই কাশিনাথের বিরুদ্ধে এমন কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের পর পদচ্যুত হবেন বাংলাদেশের ইউসুফ সরকার
চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় কলকাতা পুলিশের হোমগার্ডকে
এমনকি কাশীনাথ কে ওখানকার লোকাল পুলিশ তথা কলকাতা পুলিশ পোস্টটি ডিলিট করার জন্যও বলেছেন। পোস্টটি ডিলিট না করায় অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কোনো রকম অভিযোগ ছাড়াই তাকে বিভিন্ন সময় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য থানায় ডেকে নেওয়া হচ্ছে। এরপর গত 10 অক্টোবর কোনো সঠিক কারণ না দেখিয়েই তাকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর গত 14 অক্টোবর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
কাশিনাথ জানিয়েছে, চাকরির পাশাপাশি তিনি নিয়মিত সমাজ মাধ্যমে নিজের নাচ গানের ভিডিও পোস্ট করতেন। এটা মূলত তার একরকম শখ। আরজিকরের ওই নৃশংস ঘটনায় তিনি এতটাই বিচলিত হয়েছিলেন যে, বিচার চেয়ে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। যেভাবে তাকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে তার মৌলিক অধিকার এবং বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন কাশীনাথ পান্ডা। কিন্তু ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার আবার বলেছে যে, তার কাজের ক্ষেত্রে গাফিলতির কারণেই নাকি তাকে কাজ থেকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে আসল সত্য ঘটনাটা এখনো জানা যায়নি। এই ঘটনার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী 18 অক্টোবর তারিখে।