Politics: অতিরিক্ত জেলাশাসক কেরালার মানবাধিকার কমিশন নবীন বাবুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল পুলিশকে। ওই এলাকার অভিযোগ কান্নুর জেলার পঞ্চায়েতের সভানেত্রী তথা সিপিএম নেত্রী পিপি দিব্যা ফেয়ারওয়েলের দিন জনসাধারণের সামনে এক দক্ষিণের অফিসারকে দুর্নীতিবাজ বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলেন। মূলত এই অপবাদ সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই জেলাশাসক এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
কান্নুর জেলা প্রশাসনকে নোটিশ পাঠালো কেরল মানবাধিকার কমিশন
এই ঘটনায় পর কান্নুর জেলা প্রশাসনকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেরল মানবাধিকার কমিশন। জেলাশাসক এবং জেলার পুলিশ প্রধানকেই তদন্ত শেষ করে দু সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কড়া ভাবে। আপাতত পুলিশ জানিয়েছে যে, নবীন বাবুর যে আত্মহত্যাতে মৃত্যু হয়েছে সেই কথা এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি, কেননা আমরা তদন্ত করতে গিয়ে কোনরকম সুইসাইড নোট পায়নি। অথবা নবীন বাবুর মৃতদেহকে দেখে আত্মহত্যা বলেও মনে হয়নি।
কিন্তু এতসব কাণ্ডের মধ্যেও ওই এলাকার স্থানীয় বাম ভক্ত ব্যাক্তিরা ওই সিপিএম নেত্রীর সাফায় গিয়ে চলেছেন। কিন্তু আবার এই নেত্রী বামেদের অন্য অংশের সমর্থন পায়নি। কান্নুর জেলার সিপিআইএম জেলার সচিবালয় তরফে জানানো হয়েছে যে, নবীনের ফেয়ারওয়েল এর সময় ডিব্বার ওরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত ছিল। প্রতিনিধিদের কানে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। কিন্তু সেটার প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সতর্ক থাকা উচিত। এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, মসজিদে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া কোন ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আঘাত করে না
পিপি দিব্যার মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগের কারণে নবীন বাবু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন
বামেদের অন্য এক দল একেবারে কড়া ভাষায় আক্রমণ জানিয়েছেন দিব্যাকে। যে অফিসারের মৃত্যু হয়েছে, মঙ্গলবার তার পাথানামথিতায় যাতে তাকে বদলি করা হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন নবীন। কারণ তার অবসর নিতে আর বেশি দিন বাকি ছিল না। তার জন্য নবীন বাবুর ওই অনুরোধ গ্রহণ করাও হয়েছিল। তার জন্য সেই মতো সোমবার কান্নুরে এই নবীনের ফেয়ারওয়েল এর আয়োজন করা হয়েছিল। নবীন বাবুর সতীর্থরা জানিয়েছিলেন, জেলাশাসকের সামনেই তার বিরুদ্ধে দিব্যা দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন, মূলত সেই অভিযোগের ফলে নবীন বাবু মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। ওই বাম নেত্রী বিনা আমন্ত্রণে চলে এসেছে নবীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে দিয়েছিলেন তার ফেয়ারওয়েলের দিন। আর গত মঙ্গলবার কান্নুরের কোয়াটার থেকে তার নিথর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। যেদিন নবীন বাবদ দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেদিনই নাকি তার ট্রেনে করে পাথানামথিতায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই ঘটনার ফলে তার আর সেখানে পৌঁছানো হয়নি। তারপরেই ওখানকার জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা ছিল নবীন বাবুর।
নবীন সৎ অফিসার ছিলেন, বলেছেন মন্ত্রীরা :
সেই পাথানামথিতায় জেলা কমিটির তরফেই নবীনের মৃত্যুর ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে সরকারের কাছে। ওখানকার স্থানীয় সিপিএমের সদস্য মোহনান তো পরিষ্কার দাপটের সুরে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দিব্যার মন্তব্যের বিরুদ্ধে যদি দলে তরপে কোন তদন্ত না করা হয়, তাহলে অবশ্যই মামলা দায়ের করবেন। অন্যদিকে আবার নবীনের প্রশংসা করে মন্ত্রী রাজন জানিয়েছেন, “নবীন বাবু ছিলেন একজন সৎ অফিসার, তিনি এমন একজন ছিলেন, যার উপর দায়িত্ব দেওয়া যেত। তাকে ভরসা করা যেত চিরকাল।”