কলকাতা বিমান বন্দরে এবার হতে পারে হাইজ্যাক । দেওয়া হলো আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা

দেশের বাইরে তো হচ্ছিলই। এবার খোদ কলকাতাতেও বিমানে বোমা আতঙ্ক এবং হুমকির আঁচ এসে পৌঁছল। মজাকাসে বিমান অপহরণ ও বিমানে হাইড্রোজেন বোমা রাখার হুমকি দেওয়া ...

কলকাতা বিমান বন্দরে এবার হতে পারে হাইজ্যাক । দেওয়া হলো আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা
Published On:

দেশের বাইরে তো হচ্ছিলই। এবার খোদ কলকাতাতেও বিমানে বোমা আতঙ্ক এবং হুমকির আঁচ এসে পৌঁছল। মজাকাসে বিমান অপহরণ ও বিমানে হাইড্রোজেন বোমা রাখার হুমকি দেওয়া হল কলকাতা বিমানবন্দরের ল্যান্ডলাইন নম্বরে ফোন করে । যার ফলে একদম তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে নিলেও কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে Airport Authority এবং CISF পুলিশ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত 20 অক্টোবর হঠাৎ রবিবার সকাল 10টা 55 মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে Air India Security Checking এর E-Portal এর ল্যান্ডলাইনটা হঠাৎই বেজে ওঠে। ফোনের ওপার থেকে এক ভারী কণ্ঠস্বরে এক ব্যক্তি বলে ওঠে যে, ‘মাঝ আকাশে বিমান হাইজ্যাক করা হতে চলেছে আর মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই’ । এই একটা লাইন কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ফোনটা কেটে দেয় ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা হওয়ার মাত্র 2 মিনিট পরেই আবারো বেজে ওঠে ওই ল্যান্ডলাইন। দ্বিতীয় বার ফোন ওঠাতেই ওপার থেকে কেউ একজন বলে ওঠে ‘বিমানে হাইড্রোজেন বোমা আছে, যেকোনো সময় একটা বড়সরো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ‘। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এই খবর পৌঁছাতে তারা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয়। বিমানবন্দরে জারি করা হয় High Alert Security ।

কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ CISF এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে

কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এরপর প্রায় 2 ঘন্টা সময় ধরে Central Industrial Security Force তথা CISF এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে এক তড়িঘড়ি বৈঠক করে। এই বৈঠক হবার পরেই একটুকুও সময় নষ্ট না করে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাই। তারপর পুলিশ তদন্ত করে দেখছে কোন নাম্বার থেকে এই হুমকির ফোন কলটি এসেছিল ও কেনই বা এরকম হুমকি দেওয়া ফোন কল করা হয়েছিল ? এই পরিস্থিতিতেই 21 তারিখ অর্থাৎ সোমবার Civil Aviation Ministry এর প্রেস কনফারেন্স করা হলো । বিমানে লাগাতার বোমাতঙ্ক নিয়ে কি কি পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়েও বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রামমোহন নাইডু বিশেষ ব্যবস্থা নেবে

এই পরিস্থিতিতে Civil Aviation Minister রামমোহন নাইডু বলেন যে, ‘আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতা। বিমান যাত্রা যাতে কোন রকম সমস্যা না হয়, তাই নিশ্চিত করতে হবে আমরা সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ। বিমানবন্দরে বর্তমান নিরাপত্তা পরিকাঠামোর পাশাপাশি আরও বেশি করে করা নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা খুব শীঘ্রই করা হচ্ছে। এখন বিমানবন্দরের সিকিউরিটি চেকিং 10% বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বিমানবন্দরে বাড়ানো হচ্ছে সিসিটিভি কভারেজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রতিনিয়ত এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং সহযোগিতা করছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রককে। ভুয়া বোবাদঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনে বদল আনতে চলেছে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকার।

একাধিক রাজ্যের পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থা এখন কাজ করতে ব্যস্ত

এর পাশাপাশি আইনি সংশোধনী আনার জন্যেও অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্র অন্যান্য সংশ্লিপ্ত মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অপরাধে 10 হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং জেল হতে পারে। এর পাশাপাশি হতে পারে বিমানবন্দরে আজীবন নিষেধাজ্ঞা ওই ব্যক্তির বা ব্যাক্তিদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং একাধিক রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন সবাই মিলে একসাথে এই কাজ করতে এখন ব্যস্ত। তদন্তের গতি বৃদ্ধি করার জন্য কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকে তরফে আবেদন জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিভাবে এই ঘটনা ঘটছে ? কেন বিমানবন্দরে এত অসতর্কতা ? এই সমস্ত কিছুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মন্ত্রক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। এতদিন পর্যন্ত বিমানবন্দর বা বিমানের ভেতরে কোন ঘটনা ঘটলে সেটা সিভিল অ্যাব্রিয়েশন এর আইনি প্রভিশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু এবার কোনো On Ground Flight এর ক্ষেত্রে বা বিমানবন্দরের বাইরে থেকে কোনো হুমকি দেওয়া কল কিংবা মেসেজ আসলে সেটা Cognizable Offence হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।

CISF Constable Recruitment 2024, Hijack, kolkata airport, West Bengal

Leave a Comment