নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্যে 6টি আসনে উপনির্বাচন এর কথা। ইতিমধ্যেই 2 প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এমনকি, বিজেপি এবং তৃণমূলের সমস্ত প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই প্রচারেও নেমে পড়েছে।
রাজ্যের শাসক তৃণমূল সরকার আবার চ্যালেঞ্জ করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়েছে যে, তারা নাকি উপনির্বাচনের 6টির মধ্যে সব আসন গুলোতেই জয়লাভ করবে। এদিকে আবার অশ্বমেধের ঘোড়া থামাতে প্ল্যান করতে ব্যস্ত কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের অন্য আরেক রাজনৈতিক দল বামেরা এখনো পর্যন্ত নিজেদের প্রার্থীই ঠিক করতে পারিনি। দফাই দফাই কখনো বামফ্রন্টে, কখনো বৈঠকের মাধ্যমে জোট ছড়ানোর চেষ্টা করছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবার নাগাদ ঘোষণা করবে বামেরা
দলীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘কংগ্রেসের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনো সংকেত আছেনি তাদের প্রার্থী নিয়ে। ISF কে নিয়ে আবার শরিকদের একাংশের মধ্যে আপত্তি রয়েছে। CPIML লিবারেশনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চালানো হচ্ছে জোটের জন্য। যদিও এখনও পর্যন্ত এর কোনো ইতিবাচক ছাড়া পাওয়া যায়। বাংলাতে গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরে বাম এর প্রার্থীরা লড়াই করেছিল। কিন্তু এই উপনির্বাচনে সেটা হচ্ছে না। যতদূর জানা গেছে কোনো রকম সাহায্য ছাড়াই স্বনির্ভরতায় উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবার নাগাদ ঘোষণা করবে বামেরা। মূলত, কংগ্রেসের দিক থেকে কোনো ছাড়া না পাওয়াই নিজেদের মতো করে লড়ার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
কিন্তু তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গিয়ে ভিড় লোকসভা নির্বাচনের মত উপনির্বাচনীয় ISF এর সঙ্গে আসন রফায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। মূলত সেই কারণেই গত রবিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বামসিক দলগুলির বৈঠক থাকলেও তা স্থগিত রাখা হয়েছে। সোমবার সেই বৈঠক পুনরায় অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে এমনটাও খবর চলে যাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, বামেদের মধ্যে 5টি আসুন রেখে ISF এর জন্য একটি আসন ছাড়া হতে পারে। তবে লিবারেশনের সঙ্গে আলোচনা ফলদায়ক হলে আবারো নতুন করে চিন্তা ভাবনা করা হবে।
কয়েক মাস পরে 6 বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন
এদিকে আবার, নিজেদের সংগঠনের শক্তি পরীক্ষা করতে এবারের উপ নির্বাচনে 6টি কেন্দ্রেই একলা লড়াইয়ের দিকে কংগ্রেস এগোতে চাইছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জেলা নেতৃত্বের উপর এই বিষয়ে ভরসা রেখেছেন। লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস পরে 6 বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা করার পর নতুন উদ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছে কংগ্রেস। আর বামেরা কংগ্রেস না হলে লিবারেশন কিংবা ISF এর মত দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিকল্প জোট সঙ্গী বানানোর জন্য। আর জি কর আন্দোলন নিয়ে বামেরা যতই মাঠে ময়দানে চাকরি হোক না কেন, নির্বাচনী রাজনীতিতে এখনো যেন গা ছাড়া দিয়ে উঠতে পারছেন না রাজ্যের সমস্ত বাম নেতৃত্বরা।