Sanjoy Roy: এখন থেকে প্রায় 3 মাস আগে, কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে ঘটে গিয়েছিল এক অত্যন্ত নৃশংস ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা। যে ঘটনায় ধর্ষিতা হয়েছিলেন ওই হাসপাতালে কর্মরত এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসক। যার নাম এখন আমরা আর সামনে আনতে পারব না, কেননা ধর্ষিতার বাবা একান্তভাবে সকলের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে তার মেয়ের নাম যেন ছড়িয়ে না পড়ে।
ওই ঘটনার সময় অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায় নামক এক সিভিক ভলেন্টিয়ার কে কলকাতা পুলিশের দ্বারা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই কেসটি চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা CBI এর হাতে । এখনো পর্যন্ত এই ধৃত সঞ্জয় রায়ের মুক্তিযুদ্ধে কোনরকম তথ্য পুলিশের হাতে আসেনি। কিন্তু এবার এই সিভিক ভলেন্টিয়ার সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছেন যে, “আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে, ডিপার্টমেন্ট আমাকে চুপ থাকতে বলেছে”। কিন্তু এখন এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মতের বিরুদ্ধে এই খুনি এবং ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জ গঠিত হয়ে গিয়েছে।
শিয়ালদা আদালতে 11 নভেম্বর এই ঘটনার শুনানি আছে
এছাড়াও আগামী 11 নভেম্বর এই ঘটনার নতুন শুনানি আছে। শিয়ালদা আদালতের বন্ধ ঘরে এই মামলায় চার্জ গঠনের কাজ চলেছে। এই চারটি গঠন করেছেন শিয়ালদা হাইকোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাস কমিটি। এই কমিটির দ্বারা ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে 103টি খুন ও 64টি ধর্ষণ মামলায় ভারতীয় সংবিধানের 66 নং ধারাই চার্জশিট সিট গঠন করে দিয়েছে CBI । আর যখনই এই সঞ্জয় রায় এই সমস্ত খবর পেয়েছে তখনই তিনি সাংবাদিকদের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
উত্তরাখণ্ডে বাস উল্টে গিয়ে মৃত্যু হল কয়েকটি শিশু সহ 20 জন ব্যক্তির
সরকার চক্রান্ত করে ফাঁসাচ্ছে দাবি সঞ্জয়ের
সেদিন শিয়ালদা হাইকোর্ট থেকে যখন ওকে বার করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ঠিক সেই মুহূর্তেই সঞ্জয় রায় সিবিআই আধিকারিকদের কাছে দাবী জানাই যে, আমি সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলতে চাই। আর সেই মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাকে সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলার অনুমতি দেয়। আর কিছু বলতে গিয়ে প্রথমেই সে জানাই আমি নির্দোষ, আমি কিছু করিনি। কোনো অপরাধ না করা সত্ত্বেও আমাকে সরকার ফাঁসাচ্ছে। যে ধর্ষণ এবং খুন এর ঘটনা আর জি কর কলেজে ঘটেছে। তার সঙ্গে আমার কোনো রকম সম্পর্ক নেই। ডিপার্টমেন্ট আমাকে পয়সা দিয়ে চুপ থাকতে বলেছে। এদিকে আবার সঞ্জয় রায় কে যখন 9ই আগস্ট এর খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়, তখন সে সবার সামনে বলেছিল, “আমিই খুনটা করেছি, আমি দোষী, আমাকে ফাঁসি দিন”। কিন্তু হঠাৎ এখন সে বলছে আমার কোনো দোষ নেই আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঠিক কেনো এরকম কথার পরিবর্তন হলো সেটা এখনো পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যাচ্ছে না।