Birbhum : গত ০৬.১১.২৪ সকালবেলা আনুমানিক ৯টার দিকে জনৈক অনুপ মন্ডল তার স্ত্রী এবং ছোট সন্তানকে নিয়ে মোরগ্রাম মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন বাসের জন্যে, বহরমপুর থেকে বীরভূমের বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি আদতে রামপুরহাট থানার বড়জোল গ্রামের বাসিন্দা।
ভুয়ো সেনাকর্মীর নাম নিয়ে ছিন্তাই করে ছিনতাই কর্মীরা
মোরগ্রাম মোড়ে কথায় কথায় পরিচয় হয় এক যুবকের সঙ্গে, সে জানায় পেশায় সেনাকর্মী (ভুয়ো) সেখানে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। এরই মধ্যে একটি UP নাম্বারের গাড়ি (ইনোভা) তাদের কাছে এসে দাঁড়ায় এবং ওই ব্যাক্তি তাদের রামপুরহাটে নামানোর আশ্বাস দিয়ে গাড়িতে উঠতে রাজি করান। রামপুরহাট যাওয়ার পথে ওই (ভুয়ো) সেনা কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশে গাড়ির চালক ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর কাস্টম অফিসারের চেকিংয়ের ভয় দেখিয়ে অনুপ মণ্ডলের কাছ থেকে 2000 টাকা, 02টি এটিএম কার্ড, পিন নং এবং তার স্ত্রীর কাছ থেকে সোনার জিনিসপত্র কেড়ে নেয় এবং নলহাটি থানার অধীনে কালিথা মোড়ের কাছে একাকী অবস্থায় তাদের নামিয়ে ফের মোরগ্রাম দিকে চম্পট দেয়।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের চেষ্টায় চালকসহ গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ
তিনি যে ছিন্তাইবাজের খপ্পরে পরেছেন, বিষয়টি বুঝতে পেরে অনুপ বাবু দ্রুত কালিথা গ্রামের মোড়ে ট্রাফিকে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার সিশ মুহাম্মদ কে বিষয়টি জানান। সিশ মুহাম্মদ তৎপরতার সঙ্গে লোহাপুর নাকা পয়েন্টে কর্তব্যরত তার সহকর্মীকে ফোনে গাড়িটি থামাতে বলে। তথ্য পেয়ে সিভিএফ-হুমায়ুন কবির এবং সিভিএফ-মুরসালিম সেখ নাকা পয়েন্টে আরও গার্ড-রেল ব্যারিকেড দেয়। গাড়ি চালক বুঝতে পেরে গাড়ি নিয়ে স্থানীয় গ্রামের রাস্তায় ঢুকে পরার চেষ্টা করে, অবশেষে পিছু ধাওয়া করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের চেষ্টায় চালকসহ গাড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। চালকের বাড়ি বিহারের মুজাফফরপুর জেলায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নলহাটি থানায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু হয়েছে, তদন্ত চলছে। নলহাটি থানার তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার – সিশ মুহাম্মদ, হুমায়ুন কবির, মুরসালিম সেখ এর তাৎক্ষনিক উপস্থিত বুদ্ধি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া অপরাধীকে ধরতে সক্ষম করেছে।