Suvendu Adhikari: নাম প্রকাশ না করেই ইঙ্গিতের মধ্য দিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে হুঁশিয়ারি দিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মন্দির তলায় যে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, সেখান থেকেই এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন শুভেন্দু। আর তারপরেই ঘটে গেল এমন একটা ঘটনা, যে সেটা না দেখলে কখনো বিশ্বাস করা সম্ভব নয় ! কি সেই ঘটনা ? জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই, তাহলে দেরি না করে প্রতিবেদনটা পুরোটা পড়ুন তাহলে বিস্তারিত বিষয়টা বুঝে নিতে পারবেন।
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ শুভেন্দুর :
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টের মন্দির তলায় গ্রুপ ডি চাকরিজীবীদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, “আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, ২৬ সালে আমি যাকে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, তাকে আমি এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব আর ওর ভাইপো অভিষেক, তাকে আমি জেলে পাঠাবো। আমি আপনাদের কথা দিয়ে দিচ্ছি। শুধুমাত্র 15টা মাস সময় নেব আপনাদের কাছে, এই কাজ করার জন্য। যদি আপনাদের আমার কথার উপর বিশ্বাস না থাকে তাহলে সেটা রেকর্ড করে রাখুন।”
ওখানে কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তার নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপো কারোরই সরাসরি নাম নেয় নি। তবুও নন্দীগ্রামের বিধায়কের নিশানাই যে তারাই ছিলেন সেটা বুঝতে কারো অসুবিধা হয়নি। আর শুভেন্দুর এই বক্তব্যটি ইতিমধ্যেই নেট পাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন রকম চর্চা।
এছাড়াও যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা সেদিন ওখানে ধর্না মিছিল করছিলেন চাকরির উদ্দেশ্যে, তাদেরকে এটাও বলেছেন শুভেন্দু যে – আপনারা কারোর দয়াদাক্ষিনে ধর্না দিচ্ছেন না। দেশের উচ্চ আদালত আপনাদের এই কাজ করার জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, আপনারা মুখ্য সচিব ছাড়া অন্য কারো কাছে ডেপুটেশন নেবেন না, আমি আশা রাখছি আপনার অবশ্যই একদিন জয়ী হবেন। ও চাকরি আপনাদেরকে দিতে বাধ্য হবে সরকার।
শুভেন্দুর তীব্র কটাক্ষ রাজ্য জনগণকে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দিতে চান না
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী কে ইঙ্গিত করেই আরো জানিয়েছেন যে, তিনি রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরিতে নিয়োগ করতে চান না। মমতার আমলে মন্ত্রী থাকাকালীন একটি ঘটনার কথাও ওখানে তুলে ধরেছিলেন শুভেন্দু। এছাড়াও শুভেন্দু যেদিন আরো জানিয়েছিলেন , আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দিতে চাই না রাজ্যের জনগণ কে, বরং ভাতা দিতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বেশি পারদর্শী । কেননা সেটা দিলে তো আগামী নির্বাচনে ওনার ঝুলি ভোটে আরো ভরে উঠবে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী কোন প্ল্যানে শুধুমাত্র ভাতা দিতে চাইছেন রাজ্যের জনগণকে সেটাও বিস্তারিত কিছুটা বিস্তারিত ভাবে শুভেন্দু ওখানে তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যদি একটা বেকার পরিবারের ছেলে কিংবা মেয়ে যাকেই হোক না কেন চাকরি দেয় তাহলে ওনার প্রতিমাসে মোটামুটি একটা খরচা হচ্ছে 25,000 টাকা, ওই বাড়িতে থাকবে কমপক্ষে 3 থেকে 4টে ভোট, চাকরি যেহেতু দিচ্ছি সুতরাং শিক্ষিত পরিবারই ওনারা, ফলে সব ভোটই যে আমি পাব সেটা গ্যারান্টি নেই। কিন্তু আমি যদি ওই 25,000 টাকা টা 50 পরিবারে 500 টাকা করে ভাতা দিই, তাহলে কমপক্ষে 200টা ভোট আমি পাবই পাবো। এটাই হল মুখ্যমন্ত্রীর ভোট নেওয়ার মূল কৌশল।