আর জি কর কাণ্ড নিয়ে এখনো রাজ্য সহ গোটা দেশ প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে নাবিলিকাকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচালো স্বয়ং ভগবান বজরঙ্গবলীর রূপ ধারণ করে এক দল হনুমান। কোনো পুলিশ কিংবা সাধারণ জনতা নয়।
আপার কেজিতে পাঠরত একটি 6 বছরের এক নাবালিকা কে ধর্ষণ করতে উদ্ধত হয়েছিল একটি জানোয়ার রূপী মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ঠিক শেষ মুহূর্তে ভগবান বজরঙ্গবলীর রূপ ধারণ করে সেই মানুষ রূপী দানবগুলির ওপরে হামলা চালায়। তারপর আর কি ওই হনুমানগুলির ভয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় ওই জানোয়ারগুলো। এই ঘটনাটি ঘটেছে আর কোথাও নয়, যেখানে এ বছরই ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের মন্দির প্রতিষ্ঠা হল অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর রাজ্য উত্তর প্রদেশে।
সেখানে বাগপত জেলার ডৌলা গ্রামে ঘটনাটা ঘটেছে। পরের দিন রবিবার ওই এলাকার স্থানীয় পুলিশ কর্তা জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই জানোয়ার রূপী ব্যক্তি ঘটনার পর থেকে বর্তমানে পলাতক হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে পকশো আইনে মামলা দায়ের করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। ভিকটিম এর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, আমার মেয়ে বাড়ির বাইরে খেলছিল, ঠিক সেই সময় মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে একটি পরিত্যাক্ত নোংরা বাড়িতে নিয়ে গেছিল। সেখানে ওই ব্যক্তি ভিকটিম মেয়েটির ওপর ধর্ষণের চেষ্টা করে, কিন্তু ভাগ্য ক্রমে সেটা হওয়ার আগেই ওই বাড়িতেই হানা দেয় ভগবান বজরংবলী রূপ ধারণ করে একদল হনুমান।
সেখানে ওই ব্যক্তি ভিকটিম মেয়েটির ওপর ধর্ষণের চেষ্টা করে, কিন্তু ভাগ্য ক্রমে সেটা হওয়ার আগেই ওই বাড়িতেই হানা দেয় ভগবান বজরংবলী রূপ ধারণ করে একদল হনুমান। সেখানে ওই জানোয়ার টার উপরে হামলা চালায় হনুমানগুলি। ভয়ে ঐ ব্যক্তি মেয়েটিকে ওখানে রেখেই প্রাণ নিয়ে পালায়। তারপরে মেয়েটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ি ফিরে সমস্ত ঘটনাটি তার বাবা-মায়ের কাছে খুলে বলে। মেয়েটি নিজেই তার বাবা-মাকে জানিয়েছিল কিভাবে ভগবানের রূপ ধারণ করে আসা হনুমান গুলো তাকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে, একটি লোক ওই ভিকটিম মেয়েটিকে নিয়ে একটি সরু গলি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। যদিও তার চেহারা সেখানে ভালোভাবে ধরা পড়েনি।
কিছুক্ষণ পর আমার কাছে ফোন আছে ওই লোকটির যে, আমার মেয়ে তার কাছে রয়েছে। আমি ওকে খুন করে দেব, না হলে আমাকে টাকা দিতে হবে। অভিযুক্ত মেয়েটির বাবা মা আরও জানায় যে, ঠিক সময় মত ভগবান শ্রী বজরংবলী রূপ ধারণ করে হনুমান গুলো ওখানে না উপস্থিত হলে হয়তো আমার মেয়েকে আমরা আর জীবন্ত অবস্থায় ফিরে পেতাম না, অথবা যদিও বা পেতাম হয়তো তাকে নিয়ে আমরা আর এই সমাজে মুখ দেখাতে পারতাম না। কেননা ওই জানোয়ারটা একটি ছোট্ট মেয়েকে নিয়েও এরকম নোংরা ভাবনা ভাবতে পারে, সেটা কল্পনাও করা যায় না।
আমার একটা কথা ভেবে খারাপ লাগছে যে, কিছু কিছু মানুষের মনের ভাবনা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে, হয়তো তারা নিজের বাড়ির মা-বোনেদের মধ্যেও নিজের বউকে খুঁজে পায়। কিন্তু আমি শতবার এই কথা বলব যে ভগবান বজরঙ্গবলী আমাদের মেয়েকে দ্বিতীয়বার আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।