আমাদের রাজ্যের রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার প্রতিমুহূর্তে নানা রকম প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগণের সেবা করে আসছে। ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকারের একটি প্রকল্প হল “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা” । যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দেশের প্রতিটি গরিব মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্যের রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট তালিকা চেয়ে নেয়, যার ফলে তাদের আবাস যোজনা টাকা বিনিময় করতে সহজ হয়।
কিন্তু গত কিছু বছর ধরে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের রিপোর্টে নানারকম গোলমাল থাকায়, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের পশ্চিমবাংলায় আবাস যোজনা টাকা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু পরে আবারো কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাতে আবাস যোজনা টাকা পাঠাতে শুরু করে। আর প্রধানমন্ত্রীর এই কার্যকলাপ দেখে আমাদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ উদ্যোগে বাংলার মানুষদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়। তিনি এই পরিকল্পনাটিকে নাম দিয়েছেন বাংলার আবাস যোজনা, যেটা কেন্দ্র সরকারের সময় ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা।
আর এই বাংলার আবাস যোজনাতে এবার এল নতুন এক বিরাট বড় সুখবর। সুখবরটি ঠিক কি ? সেটা জানতে হলে অবশ্যই আমাদের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণটা পড়তে হবে। তবেই আপনারা এই সুখবরটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য সবার আগে পেয়ে যাবেন।
বাংলার আবাস যোজনায় নতুন সুখবর :
নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি করার জন্য যে টাকা দিতেন, তারপরে যে সমস্ত উপভোক্তাদের নিজস্ব জমি রয়েছে তারা তো বাড়ি করে নিতে পারতেন। কিন্তু যে সমস্ত উপভোক্তরা মূলত ভূমিহীন, তাদের জন্য মূলত 1 কাঠা করে জমি দেওয়া হতো সরকারের তরফ থেকে। এবার আমাদের রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পকে টক্কর দিয়ে 1 কাঠা জমির বদলে এবার 2 কাঠা করে জমি দেবে ভূমিহীন বাংলার আবাস যোজনার উপভোক্তাদের জন্য।এই খবর ইতিমধ্যেই নবান্ন দ্বারা প্রতিটি রাজ্যের জেলাশাসকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ও তাদেরকে একদম কড়াভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে কোনো ন্যায্য উপভোক্তা যেন এই প্রকল্প থেকে বাদ না পড়ে, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাতে।
এদিকে আবার এই আবাস যোজনার টাকা দিতে গিয়ে অনেক সময় দেখা গিয়েছে, উপভোক্তা রাজ্যে জায়গায় বর্তমানে বসবাস করছে তার আশেপাশে কোনো জায়গাতে বাড়ি করার মতো পরিস্থিতি নেই । তখন রাজ্য সরকারের নিজে উদ্যোগে অন্যত্র চলে গিয়ে ওই বক্তাকে বাড়ি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই নতুন আবাস যোজনার গণনা ইতিমধ্যেই গত আগস্ট মাস থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। এই এই নয়া উদ্যোগে রাজ্য সরকারের দ্বারা রাজ্যের প্রায় 11 লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে বলে জানা গেছে।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী নেতারা কি বলছে
রাজ্য সরকারের এই নতুন পদক্ষেপকে আবার বিরোধীদলের সমস্ত নেতারা অন্যভাবে সাধারণ জনগণের কাছে দেখাচ্ছে। তারা বলছে সামনেই রয়েছে রাজ্যের উপনির্বাচন, আর এই নতুন উদ্যোগকে মূলত মাস্টার্স্ট্রোক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল সরকার। এছাড়াও বিরোধী দলনেতারা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল রাজ্য সরকার প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা এই নতুন উদ্যোগে কেন্দ্র সরকারের থেকে বেশি সুবিধা প্রদান করতে চলেছে রাজ্যের সাধারণ জনগণ কে।