Murder Case: টানা 10 বার ব্যর্থতার পর 11 বারে বাবা সিদ্দিকী কে গুলি করতে সফল হয় এই ভাড়াটে গুন্ডারা । কিন্তু কেন ?

হামলাকারীদের বলা হয়েছিল, তারা যেন বাবা সিদ্দিকী কে খের ওয়ারিতে অবস্থিত তার ছেলের অফিসের কাছাকাছি কোনো এক জায়গায় নিয়ে এসে গুলি করে।

Murder Case: টানা 10 বার ব্যর্থতার পর 11 বারে বাবা সিদ্দিকী কে গুলি করতে সফল হয় এই ভাড়াটে গুন্ডারা । কিন্তু কেন ?
Published On:

Murder Case: বাবা সিদ্দিকীর খুনের তদন্ত যত দিন দিন এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর নানারকম তথ্য। এবার নাকি জানা গেছে গত শনিবার বাবা সিদ্দিকী কে খুন করা হলেও, সেই ঘটনার আগেই গত এক মাসে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় আরো 10 বার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল গুন্ডাদের মাধ্যমে। কিন্তু প্রতিবারই তারা অসফল হয় এই কাজটি করতে। কিন্তু শেষমেশ 11 বারের বেলায় সিদ্দিকীকে প্রাণ হারাতে হয় ওই গুন্ডাদের হাতে।

Tines of India এর রিপোর্টে হামলাকারীদের উল্লেখ করা হয়েছে

ভারতবর্ষের অন্যতম এক ইংরেজি সংবাদপত্র Times of India তার রিপোর্টে বলেছেন, পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ওই পুলিশি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, হামলাকারীদের বলা হয়েছিল, তারা যেন বাবা সিদ্দিকী কে খের ওয়ারিতে অবস্থিত তার ছেলের অফিসের কাছাকাছি কোনো এক জায়গায় নিয়ে এসে গুলি করে। তারা বাবা সিদ্দিকী কে গুলি করতে বারবার অসফলতার পর 11 বারে সফল হতে পারে। এছাড়াও ওই জায়গাটা যেহেতু খোলামেলা তার জন্যই তাদের গুলি করতে এতটা সময় লেগেছিল বাবা সিদ্দিকীকে।

এছাড়াও এর পেছনে আরেকটা বড় কারণ হলো বাবা সিদ্দিকীকে সবসময়ই প্রচুর মানুষ ঘৃার্থ ফলে মারতে এসেও বারবার তারা ওকে মারতে পারেনি। এদিকে আবার পুলিশ বাবা ফিরতে কি মৃত্যুর মামলায় এক যুবককে ধৃত সাব্যস্ত করে গ্রেফতার করে। ওই গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম হল হরিশকুমার নিষাদ, বয়স 24 বছর। তাকে উত্তরপ্রদেশের কাইসর্গঞ্জ থেকে ধরা হয়। আদালতে তোলার পর আদালত ওই ধৃত ব্যক্তিকে আগামী 21 অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

তারও আগে এই ঘটনায় গুড়মেন সিং এবং ধর্মরাজ নামে দুই বন্দুক বাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার করা হয় প্রবীণ লোঙ্কার নামে এক ব্যক্তিকে। এই প্রবীন ছিলেন একজন দুধের ব্যবসায়ী, তাকে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলেও দাবিও করা হয় । পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে নাকি, এই প্রবীণ হলো শুভম লোঙ্কার নামে এক ব্যক্তির ভাই। যার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সূত্র ধরে এই খুনের নেপথ্যে লরেন বিষ্ণোই গ্যাং রয়েছে বলে দাবি করা হয়। অন্যদিকে আবার উত্তর প্রদেশ থেকে ধৃত হরিণ আগে পুনে শহরে একটি বাতিল ও ভাঙ্গায় জিনিসের দোকান চালাতো। যা গত দু সপ্তাহ ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। ওই দোকান থেকেই একথা জানিয়েছেন মালিক।

আরও পড়ুন: সৎ অফিসারকে দুর্নীতিবাজ বলায় আত্মহত্যা করলেন যুবক

বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর আসল রহস্য কি এখানেই লুকিয়ে রয়েছে?

এর মধ্যে সবথেকে আশ্চর্যজনক একটি বিষয় হল, ওই বাতিল হওয়া জিনিসের দোকানের পাশেই রয়েছে প্রবীণের দুধের দোকান। এদিকে আবার পুলিশকে মোটরবাইক ও বাজেয়াপ্ত করেছে এই ঘটনায়। যেটা হরিস কিনে ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এই মোটর বাইকটির সঙ্গে খুনের ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশে ঐ আধিকারিক আরো জানিয়েছেন যে, একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরবাইক কেনার জন্য প্রবীণ হরিশ লোঙ্কার কে 60 হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু হরিশ সেই মোটরবাইকে কিনে সেটি চালিয়েই পুনে থেকে মুম্বাই পৌঁছে যায়। এদিকে আবার মুম্বাই শহরের কুরলাই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল তিন বন্দুকবাজ আততায়ী। তাদের সেই ভাড়া বাড়ির কাছেই হরিশ সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকটি ঐ তিনজন ভাড়াটে খুনির হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীকালে সেই বাইকে চড়েই ঘাতকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বলে দাবি করেছেন পুলিশ।

YouTube ভিডিও দেখে আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে শেখে

থামুন থামুন, এখানেই শেষ নয়। চমকে যাবার মতো খবর এখনো রয়েছে। বুধবারে যেমন পুলিশ দাবি করে, এই ঘটনায় জড়িত আততায়ীরা youtube ভিডিও দেখে আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে শেখে। শুধু তাই নয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, পলাতক শিবম কুমার গৌতম উত্তর প্রদেশে থাকাকালীন সেখানকার বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতে উৎসবের অঙ্গ হিসেবে যে বন্দুক চালানো হতো, তা দেখেই প্রথম আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে শেখে।

Baba Siddiqui, india, murder case

Leave a Comment