Civic Volunteer: আবারও এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল আউশগ্রামে, গ্রেফতার সিভিক ভলেন্টিয়ার।বিগত কয়েক মাস ধরে আমাদের এই রাজ্য সহ গোটা দেশে ধর্ষণ এবং শ্লীনতাহানীর ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। মনে হচ্ছে যেন পুরুষদের বেশে নারকীয় দৈত্যি , আমাদের চারপাশে পরিবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সুযোগ পেলেই তারা মেয়েদের ওপর একদম ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
আর শ্লীনতাহানী এর ঘটনা নিয়ে বিগত কয়েক মাসে রাজ্যে প্রচুর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নাম উঠে এসেছে, যে তারা নাকি এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে। তার ওপরে আবার প্রায় মাস দুয়েক আগে কলকাতার আরজিকর মেডিকেল হসপিটালে ঘটে যাওয়া সেই নারকীয় ভয়ংকর কান্ডের এখনো পর্যন্ত গোটা রাজ্য শোকস্তব্ধ। ওই আর জি কর মেডিকেল হসপিটালে কেসেও জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সঞ্জয় রায় নামক এক মদ্যপ সিভিক ভলেন্টিয়ার।
আর সেই নারকীয় জঘন্য ঘটনার রেস রাজ্যবাসীর ওপর থেকে কাটতে না কাটতেই আবারো উঠে এলো নতুন এক শ্লীনতাহানীর ঘটনা। রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রামের বেরেন্ডা গ্রামে এই নোংরা ঘটনাটি ঘটেছে, গত কয়েকদিন আগে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো, সে বিষয়ে তদন্ত করলে জানা যায় যে কোনো এক বিশেষ কারণে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়, এই ঝামেলার বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য গ্রামের কয়েকজন মোড়ল ব্যাক্তি নিয়ে একটি সভা করেছিল। আর ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার রহমতুল্লাহ শেখ। তিনি খবর পান যে গ্রামের মধ্যে বিচার পাইয়ে দেবার জন্যেই পঞ্চায়েত প্রধান সহ গ্রামের মোড়ল মানুষদের নিয়ে একটি সভা আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশি নির্দেশমতো গ্রামে কোনো ভাবেই এরকম সভা করা যাবে না। এই কথা ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার সভায় এসে বলে নিজের কাজে চলে যান।
ওই রাতেই ওই এলাকারই এক আদিবাসী গৃহবধূ আউসগ্রাম থানায় গিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ার রহমতউল্লাহ শেখ এর নামে শ্লীনতাহানির অভিযোগ নিয়ে আছে। তার অভিযোগ হচ্ছে এই যে, ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার রহমাতুল্লাহ বেশ অনেকদিন ধরেই তার ওপরে এক খারাপ দৃষ্টিতে দেখছেন। আর গতকাল যখন বাড়িতে কেউ ছিল না এবং ওই গৃহবধূ তাদের নিজেদের বাড়িতে উঠোনে তক্তার উপর শুয়েছিলেন । তখনই নাকি ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার ঠিক সুযোগ পেয়ে ওই গৃহবধূর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, এবং তার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকার লোকাল পুলিশ ওখানে তদন্ত করে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার কে গ্রেফতার করে। কিন্তু সিভিক ভলেন্টিয়ার রহমাতুল্লাহ তার উপরে দেওয়া এই অভিযোগ কোনো মতেই মেনে নিতে চাইছে না, তিনি বলেই চলেছেন এই কুকর্ম আমি করিনি। তিনি জানান এই আদিবাসী পাড়ায় নাকি বেআইনি চোলাই মদের ব্যবসা চলে। তিনি সেখানে এদের নিষেধ করতে আছেন, কিন্তু আদিবাসীরা সেই নিচে থাকা অমান্য করে এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে বচোসা করে। মূলত তার জন্যই তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।