APJ Abdul Kalam: সন্তানের ভবিষ্যৎ পাল্টে দেওয়ার মতো আব্দুল কালামের এই উক্তিপ্রতিটা বাবা-মা চাই তার সন্তান যেন ভদ্র, নম্র, সাহসী ও এই সমাজে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি রূপে গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, বাবা মায়েরা ছোট থেকেই সন্তানের মাথায় জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যে, তারা বড় হয়ে ডাক্তার হবে, মাস্টার হবে কিংবা হবে ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু তারা ভেবে দেখেনা একবার যে, আরে সন্তানরা ঠিক ভবিষ্যতে কি হতে চাই। আরে জোর করে নিজেদের ইচ্ছা সন্তানদের মাথায় তুলে দেওয়ার ফলেই বেশিরভাগ বাবা মায়েরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে পারেনা।
ছোট থেকেই দেখা গেছে বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের স্কুল, প্রাইভেট টিউশনি, বিভিন্ন রকম ফিজিক্যাল এক্টিভিটি ইত্যাদিতে জোর করে ভর্তি করে দেয়। যার ফলে তাদের পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত শৈশবকালীন জীবনে নানা রকম মানসিক বাঁধা পড়ে। এই সমস্ত কারণের জন্যেই ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং মহান বিজ্ঞানী স্যার এপিজে আবদুল কালাম কয়েকটি নীতি বলে গেছেন, যেগুলি আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে বেশ অনেকটাই সাহায্য করবে। তাহলে দেরি না করে এই সমস্ত বিষয়গুলি জেনে নিন এবার –
সন্তানদের সঠিক পদ্ধতিতে মানুষের মত মানুষ করে তোলার জন্য স্যার এপিজে আবদুল কালামের নীতি :
ভালো পরিবেশ : প্রতিটি পিতা মাতাকে উচিত তার শিশুকে বাড়িতে একটা ভালো ও সুস্থ পরিবেশ উপহার দেওয়া। তাতে শিশুর আত্মবিশ্বাস ও বুদ্ধি আরও প্রখর হয়।
সর্বদা সত্যের পথে চলা : শিশুদের অভিভাবকেরা যতই বেশি তর্ক, মনোমালিন্য, মিথ্যে কথা, ঝঞ্ঝা ঝামেলা ইফতারি করবে, তার প্রভাব ততই ওই বাড়ির শিশুর মনে বাসা বাঁধবে। যার ফলে শিশুকে কিছুদিনের মধ্যে মনে হবে সে খুব অসহায় এবং একা। যার মনের কথা বলার মত কেউ নেই।
সহানুভূতি দেখানো : আপনার শিশুকে অবশ্যই সবাইকে সাহায্য করতে শেখান, তার ফলে আপনার শিশুর মনি সহানুভূতিশীলতা গড়ে উঠবে।
আত্ম বিশ্বাস : আপনার শিশু যদি বাড়ির মধ্যে ভালো পরিবেশ, পিতা মাতার স্নেহ, ভালোবাসা, পুষ্টিকর খাবারদাবার ইত্যাদি পায় তাহলে সে শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই প্রখর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। এবং যার ফলে আপনার শিশুর মনে ভয় ধীরে ধীরে বেশ অনেকটাই কমে যাবে।
মূল্যবোধ : শিশুকে প্রতিটা অভিভাবকের উচিত যথেষ্ট মূল্যবোধ শেখানো। তাদের চেয়ে নিজের জীবনে সৎ হবে ও তার গুরুজনদের সম্মান করতে শিখবে।
সংযত থাকা : আপনার বাড়ি শিশুর সামনেই আপনি যতই উঁচু গলাতে কথা বলবেন এবং শিশুর সামনে খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন, ধীরে ধীরে খারাপের দিকে অগ্রসর হবে। সুতরাং শিশুদের সামনে কখনোই খারাপ ভাষা বলা উচিত নয় প্রতিটা অভিভাবকের।