Chandannagar: বাঙালির যেন উৎসবের শেষ নেই। কথাতেই তো আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ । আর তার জন্যই মাত্র কয়েকদিন আগেই হল দুর্গাপুজো, তারপর এলেন মা লক্ষ্মী, ও আবার শেষের দিকে এলো মা কালী। আর এনাদের পরেই আবারো কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে আগমন ঘটলো দেবী জগদ্ধাত্রীর । আকাশে বাতাসে শরতের কাজকলের গন্ধ যেমন জানান দেয় দুর্গাপুজো এসে গেছে, ঠিক তেমনি হেমন্তের হালকা রোদ এবং হালকা হালকা শীতের পরশ জানান দেয় যে জগদ্ধাত্রী মায়েরও আগমন ঘটেছে।
আমাদের এই বাংলার বুকে সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় জগদ্ধাত্রী পূজা হয় নদীয়াতে। নদীয়ার বুদ্ধিজীবী গোপাল ভাঁড় ও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর কৃষ্ণনগরের ‘বুড়িমা’ হল সব থেকে আকর্ষণীয় বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজো। এই জগদ্ধাত্রী পূজাতে কখন আপনারা অঞ্জলি দেবেন ? ঠিক কোন সময়ে পূজা আরম্ভ হবে ইত্যাদি সমস্ত পুজোর নির্ঘণ্ট আমরা এখানে এবার দিয়ে রাখলাম। যেটা অবশ্যই আপনাদেরকে এই পুজোতে বেশ অনেকটাই সাহায্য করবে, পুজোর সমস্ত সঠিক সময় ও তারিখ জানার ক্ষেত্রে।
2024 সালের কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী ‘বুড়িমা’র পুজোর সময় নির্ঘণ্ট :-
চলতি বছরে জগদ্ধাত্রী পুজো ঠিক কটা থেকে আরম্ভ হবে । কখন থেকে আপনারা আরতি দেবেন। কখন পুজো শেষ হবে ইত্যাদি সমস্ত তথ্য আমরা এই নির্ঘণ্ট তে উল্লেখ করলাম। মূলত মঙ্গল ঘটে জল ভরার মাধ্যমে দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজোর সমস্ত প্রস্তুতি শুরু হয়।
সময় ও তারিখ পুজোর তিথি
10 নভেম্বর, ভোর 5টা 50 মিনিট , সপ্তমী পূজো
10 নভেম্বর, সকাল 9টা 30 মিনিট , অঞ্জলি
10 নভেম্বর, সকাল 10টা 30 মিনিট, অষ্টমী পূজো
10 নভেম্বর, দুপুর 12টা, অষ্টমীর অঞ্জলি
10 নভেম্বর দুপুর 1টা 30 মিনিট, নবমী পুজো
10 নভেম্বর দুপুর 3টে, বলিদান
10 নভেম্বর দুপুর 3টে 30 মিনিট নবমীর অঞ্জলি
10 নভেম্বর সন্ধ্যে 6টা, সন্ধ্যা আরতি
10 ও 11 নভেম্বর রাত 10টা থেকে সন্ধ্যে 4টে পর্যন্ত ভোগ প্রসাদ বিতরণ
11 নভেম্বর সকাল 8টা 36 মিনিট দশমী পুজো
11 নভেম্বর দুপুর 3তে 28 মিনিট বুড়িমাকে আসন থেকে সরানো
কৃষ্ণনগরের বুড়িমার বিসর্জন :
পুরো কৃষ্ণনগর শহরে যতগুলি জগদ্ধাত্রী মায়ের পুজো হয়। সবার বিসর্জন হয়ে যাওয়ার পর সব একদম শেষে বুড়িমার বিসর্জন করা হয়।। জগদ্ধাত্রী বুড়ি মাকে কাঁধে করে রাজবাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নদীতে। আর নদীর পাড়ে অসংখ্য হিন্দু সনাতনী মা-বোনেদের সিঁদুর খেলা, উলুধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনি, একটু বিদায় বেলার কষ্ট, ছেলেদের আসছে বছর আবার হবে ইত্যাদি ধ্বনির মাধ্যমে বুড়িমাকে বিদায় দেওয়া হয়।