কেষ্ট মণ্ডলের কালী প্রতিমার গায়ে গত গয়না আছেন জানেন কী ? জানলে হয়ে যাবেন অবাক ।

গত বৃহস্পতিবার রাত্রে হয়ে গেল দীপাবলীর বিরাট উৎসব। এই দীপাবলী বাহুবলীতে বীরভূমের বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের অফিসে দেবীকালীকে পুজো করা হলো অত্যন্ত ধুমধাম এর সঙ্গে। এই ...

কেষ্ট মণ্ডলের কালী প্রতিমার গায়ে গত গয়না আছেন জানেন কী ? জানলে হয়ে যাবেন অবাক ।
Published On:

গত বৃহস্পতিবার রাত্রে হয়ে গেল দীপাবলীর বিরাট উৎসব। এই দীপাবলী বাহুবলীতে বীরভূমের বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের অফিসে দেবীকালীকে পুজো করা হলো অত্যন্ত ধুমধাম এর সঙ্গে। এই পুজোর প্রধান দায়িত্বে ছিলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবারে 2 বছর পর নিজের শহরে তিনি কালীপুজো কাটালেন। মাঝে প্রায় 2 বছর কেটেছে তার জেলের অন্ধকার কঠুরিতে।

কেষ্ট মন্ডল না থাকায় গত 2 বছরে বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে সেরকম ধুমধাম ভাবে কালীপুজো আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, কিন্তু কেষ্ট মন্ডল দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর ফিরে আসতেই এবারে কালীপূজাতে ধরা দিয়েছে এক নতুন চমক। এবারে দীপাবলিতে কেষ্ট মন্ডল পূজো মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন ঠিকই, কিন্তু কালীপুজোর কোন কাজে প্রত্যক্ষভাবে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। এই ব্যাপার নিয়ে গত রবিবার খয়রাশলে আয়োজিত বিজয়া সম্মোলনি থেকে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছে যে, ‘আমার কাকার কিছুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে, সেই নিয়ে আমাদের এখন কালাশৌচ চলছে। মূলত তার জন্যই এবারের পূজাতে প্রত্যক্ষভাবে আমি অংশগ্রহণ করিনি, কালি মাকে দূর থেকেই প্রণাম জানিয়েছি। এছাড়াও মায়ের পুজোর জন্য যে গয়না রয়েছে সেটা ও আমি নিজের হাতে পড়াবো না।

কিন্তু একসময় এই বীরভূমের বোলপুরের ডন তথা অনুব্রত মণ্ডল নিজের হাতেই দেবী কালীকে ভরি ভরি সোনার গয়না পড়িয়ে সাজিয়ে তুলতেন। আর সেই স্বর্ণ অলংকারে মোড়া দেবি কালি মাকে দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন এখানে ছুটে আসতো। তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের দাবি অনুযায়ী দেবী কালীর জন্য প্রায় 570 ভরি সোনার গহনা রয়েছে। কিন্তু এবারের দীপাবলি তে তার বিন্দুমাত্র গহনা দিয়েই দেবী কালীকে সাজানো হয়েছে। এই নিয়ে কেষ্ট মন্ডল জানিয়েছে যে, ‘গত বছরে মাকে যে সমস্ত গয়না পরানো হয়েছিল সেগুলি এবারও পড়ানো হবে এবং তাদের দ্বারাই পড়ানো হবে যারা আগেরবারও পরিয়েছিলেন। তবে কি পরিমান গয়না আগের বছর পড়ানো হয়েছিল সেটা আমার জানা নেই। এর মধ্যে একটা কথা না বললেই নয় যে’, বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে মূলত কেষ্ট মন্ডল এর জন্যই কালীপুজো শুরু হয়েছিল।

এই নিম গাছকে কালী হিসেবে পুজো করত ডাকাতেরা। সেই থেকে নাম তার ঝুপো কালী

দলীয় কর্মীদের তরফ থেকে জানা যায় যে, 2018 সালে এই পুজো শুরু হয় বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় এবং তখন সেই সময় কালীপুজোর জন্যে প্রায় 180 ভরি সোনার গহনা ছিল। যেটা 2019 সালে হয় 260 ভোরি এবং সেটাই আবার 2020 সালে হয়েছে 360 থেকে 370 ভোরি । আর ওই গহনায় 2021 থেকে আছে 560 থেকে 570 ভোরিতে। যেই গহনার এখন দাম ভারতীয় বাজার মূল্যের হিসেবে প্রায় 3 কোটি টাকারও বেশি।

কিন্তু তারপরেই যেহেতু 2022 সালে অনুব্রতর জেল হয়ে যায় ও তখন থেকেই বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের অফিসে কালীপুজোর জাঁকজমক ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এমনকি শোনা গিয়েছে যে গত বছর নাকি শুধুমাত্র ইমিটেশনের গহনা পড়িয়েই শ্রেষ্ঠ মন্ডল এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কালী মায়ের পুজো করা হয়েছিল তৃণমূল অফিসের কার্যালয় বোলপুরে। কেননা কেষ্ট মন্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সমস্থার নজরে পড়ে যায় এই কালী মায়ের এত গয়না। আর সেই সময় ওই কারণেই বই পড়ে তৃণমূল দপ্তরেও হানা দিয়েছিল Enforcement Director of Police । তবে একটা বিশেষ কথা হল যদিও বা এই কালীপুজোর উদ্যোক্তা প্রথম নিয়েছিলেন কেষ্ট মন্ডল তবেও এই সম্পূর্ণ বোঝো তাই পরিচালিত হয় একটি বেসরকারি ট্রাস্ট দ্বারা। ঠাকুরের যাবতীয় গহনাও তাদের কাছেই রাখা থাকে।

Anubrata Mondal, Diwali

Leave a Comment