Heavy Rain Fall: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও সমস্ত মানুষদের ঘরবাড়ি দ্রুত সারিয়ে দিতে হবে : বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে ঘোষণা করে বলেছে যে - ভোটে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার 1% যদি রাজ্য সরকারকে দিত তাহলে এই বন্যা কবলিত বিধ্বস্ত মানুষদের হাত থেকে বাঁচানো যেত।

Heavy Rain Fall: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও সমস্ত মানুষদের ঘরবাড়ি দ্রুত সারিয়ে দিতে হবে : বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
Published On:

Heavy Rain Fall: এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যার ফলে জলে জলময় হয়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গা। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়িঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের ক্ষেত, রাস্তাঘাট ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত কিছু দ্রুত সারানোর নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে।

ওদিন বর্ধমানের প্রশাসনিক বিভাগ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে , “পূজোর ছুটির মধ্যেই সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে হবে” । বর্ধমান এ ঘটে যাওয়া সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার অভিযোগ করেন যে, ” ফ্লাড সেন্টার তৈরি করলেও বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, পূজোর ছুটির মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।”

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ওই দিন বন্যার প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, সাধারণ মানুষটা কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়। গত সোমবার বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী যান বাঁকুড়া বড়জোড়ার ত্রাণ শিবিরে। কেন সেখানেও ঘটেছে বিকট বন্যা, সিটিকেই একদম সরজমিনে দেখতে তিনি এখানে যান। মুখ্যমন্ত্রীকে চোখের সামনে রেখে ঐ এলাকার বন্যা বিধ্বস্ত সমস্ত মানুষ কেঁদে ফেলে।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ওখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, “আমরা প্রতি নিয়ত 24 ঘন্টা বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আছি। অনেকগুলো বন্যা সেন্টার তৈরি হলেও বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। ওই এলাকার যে সমস্ত প্রকাশ স্কুল বাড়িগুলো রয়েছে, নিতে পারে সেদিকে নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেদিন ওখানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ‘আমি আমার সমস্ত প্রিয় চাষী ভাই বোনদের চিন্তা করতে বারণ করব, কেননা বন্যা পেরিয়ে গেলেই আমরা শস্য বীমার টাকা টাকা আপনাদেরকে তুলে দেব” সেটা কিছুটা হলেও আপনাদেরকে স্বস্তি দেবে। আবার পরিস্থিতি ঠিক হলে যাদের চাষের জমি নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের জমি মেপে টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দেব।

মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে আরো আশ্বাস দেন যে , ‘এবার থেকে সরকার পাকা বাড়ির পাশাপাশি কাঁচা বাড়ি সংস্কারের কাজেও করবে। জল যখনই নামবে সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে ওই সমস্ত বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায়। রাজ্য প্রশাসন বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত বাড়ির পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি হিসাব দেবে । রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে ঘোষণা করে বলেছে যে – ভোটে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার 1% যদি রাজ্য সরকারকে দিত তাহলে এই বন্যা কবলিত বিধ্বস্ত মানুষদের হাত থেকে বাঁচানো যেত।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগামী 11 ডিসেম্বর তারিখ থেকে পাকা বাড়ি করার জন্য সরকার টাকা দিতে আরম্ভ করবে আবাস যোজনার মাধ্যমে। এছাড়া পঞ্চায়েত দপ্তরকে কড়া ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে জল কমলে তারা যেন তাদের সমীক্ষার কাজ শুরু করে দেয়।

Flood, Mamata Banerjee, Rain Fall, Weather Forecast

Leave a Comment