Yahya Sinwar: মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছিল হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের । পুলিশি ময়নাতদন্তের ফলে পাওয়া গেছে এই বিস্ফোরক তথ্য। আরো জানা গিয়েছে যে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর 828 ব্রিগেড অভিযান চালাচ্ছিল তেল আল সুলতান নামে এক অঞ্চলে। সেই অভিযান চালানোর সময়ই তারা দেখতে পান যে সিনওয়ার এর মৃতদেহ সেখানে পড়ে রয়েছে। তারপরে মৃতদেহের DNA পরীক্ষা করেই সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় ইজরাইয়েলের তরফে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
মাথায় গুলি করে হামাস প্রধানকে হত্যা করা হয়েছিল সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পেশ করে দিয়েছে SNN । তারপরেই তার ডান হাতের একটি আঙ্গুলও কেটে নেওয়া হয় এবং ওর দেহে একাধিক আঘাতিক চিহ্নও পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত করা এক চিকিৎসক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, দেহে opএকাধিক আঘাতিক চিহ্ন থাকলেও মাথায় গুলি লাগার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ওর মাথার খুলির প্রচুর অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই গুলি করার ফলে। এগুলি ছাড়াও ট্যাংক সেল এর আঘাতেও গুরুতর জখম হয়েছিলেন এই হামাস প্রধান।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের স্থাপিত হলো লেডি জাস্টিস এর নতুন মূর্তি
কিভাবে মারা হয়েছিল ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে
এছাড়া তদন্তকারী পুলিশরা দেখতে পেয়েছিলেন যে মৃতদেহের হাতের তর্জনী আঙুলটা ছিল না, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল সেটা মৃত্যুর পরে কাটা হয়েছে। হামলার পর ইজরাইলি সেনা হামাস প্রধানের মৃতদেহ থেকে ওই আঙুল কেটে নিয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে তদন্তের ফলে। DNA পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যই আঙুল কাটা হয়। এরপরে প্রায় 2 দশক ধরে ইজরায়েলের জেলে বন্দী ছিলেন সিনওয়ার। 2011 সালে ছাড়া পান তিনি। তারপর Israel National Centre for Forensic Medicine Chief Pathologist চেন কাগেল, জানিয়েছেন যে সিনওয়ার জেলে থাকাকালীন তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে প্রোফাইল ছিল, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় কাটা আঙ্গুলের ছাপ। তার ফলেই সেটার চিহ্নিতকরণ হয়। ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা করে সেনাবাহিনী। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না বলেই জানিয়েছিল ওই প্যাথলজিস্ট। তারপরে আঙুল কেটে নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছিল যে, এই হামাস প্রধানের মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই হামাস অন্দরমহলে নেতৃত্ব জনিত নানা রকম সংকট দেখা দিয়েছে। একজন রাজনৈতিক নেতার সন্ধান করছে তারা, যিনি গাঁজার বাইরে থেকে সংগঠন পরিচালনা করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ইয়াহিয়া সিনওয়ার এর মৃত্যুর পর হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানেয়াহু।