ওয়াকফ বিল নিয়ে সম্প্রতি যৌথ কমিটির বৈঠকে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেই বৈঠকে এক তীব্র বচসার মধ্যে জড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ মাননীয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চোট লাগায় চারটি সেলাই পড়েছে
ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে দিল্লিতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল গত মঙ্গলবার। মূলত সেখানেই বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যার ফলে প্রবল উত্তেজনা শুরু হয় ওখানে। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, এই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি কাচের বোতল ভেঙে নিজের হাতে চোট লাগিয়েছেন। যার ফলে ওনার হতে 4টি সেলাই পড়েছে। যার ফলে মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয় এই ওয়াকফ বিলের যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক। এই বৈঠক থামিয়ে দেওয়ার পর যখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধরে বাইরে নিয়ে আসা হয় তখনই দেখা যায় সেখানে উপস্থিত হয়েছেন AIMIM সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে ।
এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য কথাটি হল, এই যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে আবার বিজেপি নেত্রী জগদম্বিকা পাল কে। পরে তাকে একদল প্রাক্তন আইনজীবীর থেকে মতামত শুনতে দেখা যায়। ওয়াকফ বিলের এই উঁচুতে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী নেতারা। এদিকে আবার সংসদের চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের বিরুদ্ধে যৌথ কমিটির নিয়ম বহির্ভূত কাজকর্মের ও অভিযোগ রয়েছে তাদের। বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছেন যে, ‘যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান কে হুমকি দিচ্ছেন বিরোধীরা’ । এছাড়া বিরোধীরা সংসদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ছিড়ে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন।
এখন থেকে প্রায় আড়াই মাস আগে 8 আগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস করা হয় সংসদে । তখন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘ মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এর বিল পেজের সময় বিরোধীরা তীব্র বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিলটিকে ‘অসংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলে উল্লেখ করে একযোগে সবর হয়েছেন বিরোধীরা। এরপরই ঐক্যমতে লক্ষ্যে এই বেলটি যৌথ সংসদীয় কমিটি তথা JPC এর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার।