Narendra Modi: ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই সামনের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি তথা বিজেপি সবথেকে বেশি নজর দিয়েছে যে রাজ্যটার ওপরে, সেটা হল মহারাষ্ট্র। গত লোকসভা ভোটে যখন নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন কিন্তু খুব বেশি ভোটে এ রাজ্যে বিজেপি নিজেদের ঘাঁটি গেড়ে উঠতে পারেনি ।
সেখানে জাতীয় কংগ্রেস হয়তো জনগণকে নিজেদের জালে ফাসিয়ে বিজেপিকে সেখানে ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার আর সেই ভুল করবে না। আগে থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জোর করে নেতারা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
লোকসভা নির্বাচনের সভায় এই বক্তব্যগুলি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন মোদীজি :
গত শনিবার এক ভরা জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে নিজের ওবিসি পরিচয় কে। সেদিন তিনি কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে মূলত তাদেরকে নিন্দা করে জানিয়েছেন যে, “এখন থেকে বিগত 10 বছর ধরে একজন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী এই এত বড় ভারতবর্ষ টাকে শাসন করে চালাচ্ছে, যে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য হলেও সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষরা যাতে উন্নত লাভ করতে পারে।
কিন্তু এই কংগ্রেস সেটা কোন মতেই সহ্য করতে পারছে না। মূলত সেই সব গানের জন্য ওবিসি সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিদের আলাদা একটা শ্রেণীতে ভাগ করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে। তিনি এই নিন্দা করে কংগ্রেসকে আরও বলেন যে, দেশের সমস্ত মানুষকে বিভিন্ন সাম্প্রদায় ভাগ করে তারা পাকিস্তানের সাহায্য করছে। 1947 এর মত দেশভাগও হয়তো এই কংগ্রেস সরকার যদি কেন্দ্রে শাসনে আসে করে দিতে পারে।
দ্বিতীয় জনসভাতে প্রবল কটাক্ষ কংগ্রেসকে প্রধানমন্ত্রীর :
এদিকে আবার দ্বিতীয় যে জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্রতে করেছিলেন সেখানে তিনি তার ভাষণে নিয়ে এসেছেন দুর্নীতির ইস্যু। এখন বর্তমানে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যগুলি তাদের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। এমনকি কর্ণাটক রাজ্যে এক মদ বিক্রেতার দোকানের কাছে 700 কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ্য উঠেছে হাত- শিবিরের বিরুদ্ধে।
এদিকে আবার এ বছরই যে লোকসভা ভোট হলো, সেখানে কংগ্রেস জনগণনার দাবী জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। অন্যদিকে আবার মারাঠাড়া ওবিসি চালিকাভক্ত হওয়ার জন্য যে আন্দোলন করে আসছে বহুদিন ধরে, তাতে কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ করছে না কেন্দ্র সরকার। আর লোকসভা নির্বাচনে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মূলত এই ভুল বোঝাবুঝির কারণেই ওবিসি, মারাঠা এবং দলিত শ্রেণীর মানুষদের অধিকাংশ ভোটই কংগ্রেস তাদের নিজেদের ঝুলিতে পুড়েছিল।
কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্র বিজেপি সরকার সমস্ত ওবিসিদের একত্রিত করে এক নতুন বুদ্ধি এঁটেছে । সব থেকে বড় বিজেপির অস্ত্র হল প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর নিজের পরিচয় ওবিসি। সেই পরিচয়টাকে সামনে রেখেই এই বিধানসভা ভোটে গতি চাইছে বিজেপি। এর মধ্যে একটা লক্ষ্য নিয়ে বিষয় হচ্ছে যে, এই ঘটনাটাকে হরিয়ানাতে জাঠদের বিরুদ্ধে অজাঠদের ভোট ব্যাংক নিজেদের দিকে করে নিয়ে সাফল্য পেয়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেই ঘটনার কি কোনো রকম পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে মহারাষ্ট্রে ? সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।