Politics: রাজ্যের যত দুর্নীতি প্রায় তার সম্পূর্ণটাই হচ্ছে এখন বিশেষ করে স্বাস্থ্য দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তরে। আরজিকরের এই ভয়াবহ কাণ্ডের মধ্যেই অভিযোগ তুলে বললেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এক সাংবাদিক সম্মেলন বা প্রেস কনফারেন্সে শুভেন্দু অধিকারী জানান যে, টেন্ডার না ডেকেই একাধিক কোম্পানিকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের শাসক দলের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান, ‘এখন রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের পাহাড় সমান দুর্নীতির প্রমাণসহ একাধিক নথি ও তথ্য সামনে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষায় দুর্নীতি, মিড ডে মিলে দুর্নীতি, রেশন দোকানে দুর্নীতি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি ইত্যাদি। এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে এই দুশ্চরিত্র রাজ্য সরকার দুর্নীতি করতে ছাড়েনি।
কি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু বাবু আরো অভিযোগ করে জানান যে, 2016 সাল থেকেই Speciality Hospital তৈরি নাম করে দুর্নীতি হয়েছে ভুরি ভুরি। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের সব থেকে বেশি টেন্ডার পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা অভিষেক ব্যানার্জির আত্মীয়-স্বজন। এর মধ্যে আবার অভিষেক ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মেনকা গম্ভীর কে টেন্ডার ছাড়াই একাধিক কাজের অর্ডার দিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যেই এই রাজ্য তৃণমূল সরকার। এর মধ্যে অর্ডার নিয়েছে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার সঞ্জয় বনশল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাও।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বীরভূমের কেষ্ট অনুব্রত মণ্ডল
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছে, এই সমস্ত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য দপ্তরকে সামনে রেখে নিজের বেনামী সম্পত্তি বাড়িয়েই চলেছে। এছাড়াও আমাদের কাছে সব নথি আছে এই দুর্নীতি নিয়ে। এই দুর্নীতি মূলত বেশি করে সামনে এসেছে 2020 সালের করোনা ভাইরাসের সময়ের পর থেকে।
শুধুমাত্র এই চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ মামলা নয়, এই আর জি কর কাণ্ড নিয়ে এখন বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক সন্দীপ ঘোষ। শুভেন্দুর অভিযোগ যে, আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সংস্কারের নামে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের মধ্যে। তিনি জানান এখন সব থেকে প্রধান কাজ হল আমাদের এই দুর্নীতিবাজ রাজ্য সরকারকে চেয়ার থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া। নয়তো এ রাজ্যের উন্নতি বিন্দুমাত্র সম্ভব নয় এই সরকার থাকাকালীন।