T 20: এখন ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে 4 ম্যাচের একটি T20 ক্রিকেট সিরিজ চলছে । যার দুটো ম্যাচ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে । প্রথম ম্যাচে মাত্র 50 বলে 100+ রান করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ এর খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন।
কলকাতা নাইট রাইডার্স এর প্লেয়ার বরুন চক্রবর্তী এসে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়
আর সেই ম্যাচে ভারত সাউথ আফ্রিকাকে একটা বড় রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল। কিন্তু, দ্বিতীয় ম্যাচে কুড়ি ওভার শেষে খুব বেশি স্কোর ভারত খাড়া করতে পারেনি। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ভেবে নিয়েছিল এই ম্যাচ আমরা অনায়াসেই জিতে যাব। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে নজর কেড়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এর অতি পুরনো একজন খেলোয়াড় বরুণ চক্রবর্তী। মাত্র 4 ওভার বল করে মাত্র 17 রান খরচ করে গিলে খেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার 5 জন ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান তার স্পিন বোলিং এর ঘূর্ণিঝড়ে ডেভিড মিলার, হেনরি ক্লাসেন, অধিনায়ক এইটেন মাকরাম, রিজা হ্যানড্রিকস এবং ম্যাক্র জ্যানসেনকে ।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ম্যাচে বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গ দিতে পারেনি অন্য কোনো বোলার। আর যেহেতু শুধুমাত্র 124 রানের টার্গেট দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে, ফলে তারা 19 ওভারের মধ্যেই 3 উইকেটে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে যায়। আর যার ফলে এখন সিরিজের স্কোর দাঁড়িয়েছে 1-1 এ। এখন ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলেরই প্রধান লক্ষ্য থাকবে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ টি জিতে লিড নেওয়া। কিন্তু এখানে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে যে, সেঞ্চুরিয়ানের পিচে কি ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা উভয় দলের ব্যাটম্যানরায় খুব বেশি রান করতে পারবে নাকি এখানেও আধিপত্য করবে বোলাররা। আমরা কেন এই সেঞ্চুরিয়ানের পিঠটাকে এত ভয়ানক পিচ বলছি, সেই তথ্যটা এবার দেখে নিন তাহলে ।
আসন্ন টেস্ট সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন না রোহিত শর্মা। তাহলে কে দেবে নেতৃত্ব
সেঞ্চুরিনের ভয়ানক পিচ :
এই সেঞ্চুরিয়ানের পিচটা অন্যান্য পিচের থেকে বেশ অনেকটাই আলাদা। এই পিচে রয়েছে গতির পাশাপাশি বাউন্স। গত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে এই পিচে আগের থেকে অনেক বেশি গতি আছে, বলাই যায় সেখানে পিন বোলারদের থেকে ফাস্ট বোলাররা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করবে। এছাড়াও এই পিচে যখন খেলা হয়, তখন টস জেতা দল তার প্রতিপক্ষ দলকে প্রথমেই ব্যাট করতে পাঠায়, এটা এমন একটা পিচ যেখানে খুব বেশি রান করা কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব নয় এবং আর একটা কারণ হলো প্রতিপক্ষ দলকে কম রানের মধ্যে আটকে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা এটা।
কিন্তু এদিকে আবার দক্ষিণ আফ্রিকা এই পিছের পারফর্মেন্সে খুব একটা ভালো নয় বললেই চলে। কেন এখানে এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা মোট 14টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে জিতেছে 6টি তে এবং হেরেছে 8টি ম্যাচে। এবার দেখার অপেক্ষা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতীয় বিরুদ্ধে তাদের কিরকম পারফরমেন্স দেখায়। আমরা অবশ্যই চাইবো ভারত যেন তৃতীয় ম্যাচটা জিতে নিয়ে সিরিজে 2-1 লিড নিতে পারে।