এই নিম গাছকে কালী হিসেবে পুজো করত ডাকাতেরা। সেই থেকে নাম তার ঝুপো কালী।

নিম হলো এমন একটা গাছ যার ভেষজ গুণাবলী সম্পর্কে কাউকে বেশি কিছু বোঝাবার প্রয়োজন পড়ে না। অবশ্য প্রাচীন শাস্ত্রে এই গাছের খুব একটা উল্লেখ নেই। ...

এই নিম গাছকে কালী হিসেবে পুজো করত ডাকাতেরা। সেই থেকে নাম তার ঝুপো কালী।
Published On:

নিম হলো এমন একটা গাছ যার ভেষজ গুণাবলী সম্পর্কে কাউকে বেশি কিছু বোঝাবার প্রয়োজন পড়ে না। অবশ্য প্রাচীন শাস্ত্রে এই গাছের খুব একটা উল্লেখ নেই। কিন্তু আমাদের এই বাংলাতে অতি প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় নিম গাছের তলায় পূজিত হয়ে আসছেন হিন্দু ধর্মের অসংখ্য দেব দেবী।

কিন্তু আমাদের এই বাংলার বুকেই রয়েছে এমন একটা নিম গাছ। যেখানে স্বয়ং ওই গাছটাকে কালী মা রূপে পুজো করা হয়। এইটি অবস্থিত বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে। যেহেতু নিম গাছকেই এখানে দেবী কালী রূপে পুজিত করা হয়, তার জন্য এর নাম রাখা হয়েছে ঝুপো কালী । কথিত আছে, বহু প্রাচীন কাল আগে বাংলার ডাকাতদের হাতে প্রথম পুজিত হয় এই কালী। ওখানকার সাধু সন্ন্যাসীদের কাছে পাওয়া খবর অনুযায়ী এই ঝুপো কালীর বয়স হলো প্রায় 300 বৎসর।

দীপাবলিতে নকল আমুল ঘি বাড়িতে আনেন নি তো, কীভাবে চিনবেন, জানিয়ে দিয়েছে সংস্থা

আগে ডাকাতেরা নিমগাছ কেই কালি রূপে পূজা করে ডাকাতি করতে বের হত

বর্ধমান জেলার এই কাটোয়া শহর সংলগ্ন এলাকায় বহু আগে নাকি ছিল প্রচুর ঘন জঙ্গল, ঘন জঙ্গলের ফলে এখানেই ঘাঁটি বেঁধেছিল ডাকাতরা। আর পরবর্তীকালে ওই ডাকাতরাই মা-কালিকে এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই দেবী কালী কে পুজো করেই ডাকাতেরা তাদের ডাকাতি করতে বেরতো। কিন্তু ডাকাতি তো আর বেশিদিন স্থায়ী থাকে না! সময়ের কালান্তরে এই ডাকাতেরা উচ্ছেদ হয়ে যায়। আর রয়ে যায় সেখানে ওই দেবী কালি রুপি নিম গাছটি। পরে ওখানকার স্থানীয় মানুষেরাই এই গাছটিকে কালি হিসেবে পুজো করতে থাকে। যেটাই স্থানীয়দের কাছে ঝুপো কালী নামে পরিচিত। যেখানে দেবী 12 মাস 365 দিন পূজিত হন নির্দিষ্ট বিধান মেনে । তবে বিশেষ করে দীপাবলিতে এখানে ভক্তদের ভীড় থাকে চোখে ধরার মতো। এছাড়াও এই কালী মায়ের একটা বিশেষ গুণ হলো, এখানে প্রতিবছর প্রায় 25 থেকে 30 হাজার লোকের অন্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়।

others news

Leave a Comment