এবছর বর্ষা নাকি যেতে চাইছে না। প্রায় প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আর প্রবল ও টানা বৃষ্টির ফলে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন জলাধার থেকে জল ছাড়াই জোড়া ফলায় বৃদ্ধ হুগলির বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এবছর বর্ষা নাকি যেতে চাইছে না। প্রায় প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আরে প্রবল ও টানা বৃষ্টির ফলে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন জলাধার থেকে জল ছাড়াই জোড়া ফলায় বৃদ্ধ হুগলির বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা।রীতিমত নালিশ করার সুরে তিনি ওখানে জানিয়েছেন যে, রাজ্য তথা দেশের সব বড় বড় তাবড় তাবর নেতারা কেন জানে না যে ও এলাকায় বস্তা ভর্তি বালি দিলে থাকবে না। ওরা নিজেরা ইনকাম করছে এবং আমাদের জন্য কিচ্ছু করছে না । পরবর্তীকালে পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল সাংসদ এর যে তিনি সেখানে ওঠার সামাল দিতে মূলত ল্যাজেগোবরে হয়ে যান।
পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এর কথায় সুর মিলিয়েই তিনি ওখানে দায়ী সেরে ফেলার কথা বলে ফেলে। তিনি চাঁদরা মিলমন্দির, চর খয়রামারি সহ ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করে এক অবাক করার মতো মন্তব্য করে বসেন। তিনি ও এলাকায় সাংবাদিকদের সামনে বলে ফেলেন যে, ‘সাধারণ মানুষ এই বন্যার ফলে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছেন। কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের ঘরবাড়ি সমস্ত কিছু ভেঙে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি ভাঙার ফলে সকলে এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। আর ওনারা বলছেন নাকি ওরা আগে থেকেই সতর্ক বার্তা দিয়ে জলটা ছেড়েছেন। কিন্তু সত্যিটা কি সেটা এখনো পর্যন্ত আমাদের জানা নেই। এক সাংসারির মুখেই ‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল’ এই কথা শুনেই তিনি মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল হয়ে গেছেন একদম।
এই প্রসঙ্গে শ্রীলেখা মিত্র রচনা ব্যানার্জিকে খোঁচা দিলেন
এই নিয়েই আবার বিরোধী দলের তারকা সাংসদ শ্রীলেখা মিত্র রচনা ব্যানার্জিকে খোঁচা দিয়ে কারোর নাম না করেই ফেসবুকে লিখেছেন যে, “এক কুইন্টাল = 100 কেজি, এমনি বললাম।” রচনা ব্যানার্জীর এই বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের মিম।