CBI: কলকাতার আরজি করে এখন থেকে 3 মাস আগে যে জঘন্য নোংরা কান্ড ঘটে গিয়েছিল। সেই ঘটনার দোষী ব্যক্তিরা কিন্তু এখনো কোনো সঠিক সাজা পায়নি। আর সন্দীপ ঘোষ ও অন্যান্যদের সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে মূলত দুর্নীতি করার কারণে। ধর্ষণ এবং খুনের মামলার কোনো তথ্য ওদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অনৈতিকভাবে তারা এখন সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করছে। যার ফলে মূলত ওরা নিজেরাই লাভবান হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। গত মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে এমনটাই দাবি CBI এর।
সন্দীপ ঘোষ সহ 5 জনকে গত সোমবার পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে
সন্দীপ ঘোষ সহ যে 5 জনকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করেছে তাদেরকে গত সোমবার পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। এই পাঁচজন ব্যক্তি হলো আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, বিপ্লব সিংহ, আফসার আলী খান, আশীষ কুমার পান্ডে এবং সুমন হাজরা। এই কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালে থেকে দিনের পর দিন দুর্নীতি করে নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের দিকেই কাজ করে চলছিলেন। আর তাদের এই ব্যক্তিগত লাভের জন্য গোটা রাজ্য বেশ অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার যখন এই পাঁচজনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা CBI আদালতে আর্জি জানাই যে, এদেরকে জেল হেফাজতে আরো 14 দিন রাখার জন্য। যে আর্থিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই খবরটা সবার প্রকাশে এনেছিল ওই হাসপাতালেই একজন প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখ তার আলী।
চমকে দেওয়ার মতো খবর সামনে এলো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে
তিনি এই এত বড় দুর্নীতিচক্রের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার জন্য CBI এবং ED এর করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এখন বর্তমানে সেই সমস্ত অভিযোগগুলি একের পর এক খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আখতার আলী সিবিআই এর কাছে যে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছিল, সেখানে মোট 15টি অভিযোগ নথিভুক্ত করা ছিল। এখন বর্তমানে সিবিআই সেই সমস্ত অভিযোগগুলি একের পর এক খতিয়ে দেখছে। প্রাক্তন সুপার আখতার আলী দাবি করেছিল, রাজ্য সরকারের সম্পত্তি স্বাস্থ্য ভবন এবং কলেজ কাউন্সিলের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠনকে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে যে খাবারের স্টল, ক্যাফে এবং ক্যান্টিনের মত জায়গাতে কোনো রকম সঠিক টেন্ডার না ডেকেই বন্টন করে দেওয়ার।
এদিকে আবার আখতার আলী মোট 3 জন ব্যক্তির নাম জানিয়েছেন যারা হসপিটালে নানা রকম জিনিসপত্র সরবরাহ করত । তারা হল বিপ্লব, সুমন এবং আফসর। তিনি জানিয়েছেন এরা কোনো রকম সঠিক যোগ্যতা ছাড়াই কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে বসে থাকে। যার ফলে সন্দীপ সহ সবাই এরা প্রচুর টাকা কামিয়েছে বেআইনি হবে। আর সেই লাভ করতে অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে “ঘনিষ্ঠ আঁতাঁত” তৈরি করেছিলেন বলে দাবি করেছে CBI ।