Mithun Chakraborty: বাংলা সিনেমা সহ গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে 80 এবং 90 দশকের সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেতা ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা লিয়ুক প্রয়াত হলেন । মিঠুন চক্রবর্তী এবং এই হেলেনার শুধুমাত্র বিবাহিত জীবন এর সম্পর্ক চলে ছিল 4 মাস । তারপরই এদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার হেলেনা লিউকের মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন
বিবাহ বিচ্ছেদের কিছু মাসের মধ্যেই মিঠুন চক্রবর্তী পুনরায় বিয়ে করেন মমতা শংকরকে। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে হেলেনার সাক্ষাৎ হয়েছিল 1985 সালে অমিতাভ বচ্চনের একটি সিনেমায় হেলেনা লিউকের অভিনয়ের মাধ্যমে। গত রবিবার অর্থাৎ ভাইফোঁটার দিন হেলেনা লিউক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং তার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার।
মৃত্যুর আভাস পেয়েছিলেন হেলেনা
এই হেলেনা গত রবিবারই সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন যে, “আমার এখন অদ্ভুত লাগছে। কিরকম আলাদা একটা মিশ্র ধরনের আবেগ অনুভূত হচ্ছে। ঠিক কি কারনে এরকম হচ্ছে আমার সঙ্গে, সেটা আমার ধারণার বাইরে” । আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হেলেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঠিক কি কারনে তিনি মারা গেলেন সেই খবর কিন্তু এখনো পরিষ্কার হয়নি।
এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে হেলেনা লিউক মিঠুন চক্রবর্তীর উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন
হেলেনা লিওক বেশ কিছু বছর আগে এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী সঙ্গে তার 4 মাসের বিবাহিত জীবন সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন তখন। তিনি বলেছিলেন যে, “আমার শুধু মনে হয়, এটা যদি না হত তাহলে তিনি সেই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমার ব্রেন ওয়াশ করেছিলেন। ও তিনিই হলেন আমার কাছে একজন আদর্শ মানুষ। এছাড়াও সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক কথা এই হলো যে তিনি সেই কথাটা আমাকে বোঝাতে একদম সম্পূর্ণ সার্থক হয়েছিলেন। হেলেনার সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর কিছু বছরের মধ্যে উনাদের দুজনের পুনর্মিলনের একটা গুজব ছড়িয়েছিল। এই বিষয়ে হেলেনা জানিয়েছিলেন যে, “আমি কোনো মতেই আর কক্ষনো ওনার কাছে ফিরে যাবো না, এমনকি যদি তিনি এদেশের কিংবা এই পৃথিবীরও সবথেকে ধনী মানুষও হোন না কেনো ?, তাও আমি ওনার কাছে ফিরব না। উনার সঙ্গে আমার জীবনের ওই কিছুদিনের সম্পর্কটা আমি মনে করি ওটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল ও সেটা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
আমরা যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম তখন আমি উনাকে সত্যিই বিশ্বাস করেছিলাম ও এছাড়াও উনি আমাকে বলেছিলেন তিনি আমাকে সত্যিই ভালোবাসেন। কিন্তু আমি জানতাম না যে তিনি এ কথাটা সত্যিই মন থেকে বলছেন না। তিনি এমন একজন মানুষ যে নিজেকে ছাড়া কাউকে ভালবাসতে পারে না। আর আমরা দুজন যখন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ছিলাম তখন তিনি অত্যন্ত অপরিণত ছিলেন, কিন্তু এদিকে আমি ওনার থেকে বয়সে মাত্র কয়েক বছরের ছোট ছিলাম এবং ওনার থেকে অনেক বেশি ম্যাচিওরও ছিলাম এর পাশাপাশি।
তিনি আমাকে আমার প্রাক্তন প্রেমিক জাভেদকে নিয়ে প্রায়য়সি নানারকম কথা শোনাতেন । আর তিনি যতবারই আমাকে একথা বলতেন আমি প্রতিবারই ওনাকে বোঝাবার চেষ্টা করতাম যে আমি জাবেদের সঙ্গে কোন রকম অন্তরঙ্গ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়নি, কিন্তু তিনি আমার কথা কোনো মতেই বিশ্বাস করতে চাইতেন না। ওনার গভীর শিকরযুক্ত সন্দেহপূর্ণ দৃষ্টি নির্মূল করতে আমি সক্ষম হয়নি। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, আমার এবং ওনার বিয়ের আগেই মমতা শঙ্কর এবং ওনার বিয়ের পাকাপাকি কথা প্রায় হয়েই গিয়েছিল। তবে পারিবারিক এবং অর্থনৈতিক নানা রকম কারণে একে সম্পর্কটা ভেঙ্গে যায়।